
শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫
নীলাঞ্জনা সান্যাল: থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত প্রতিমা। প্রতিমা মাইতি। মাসে দু’বার রক্ত নিতে হাওড়ার বাকসির কোটাইপাড়া থেকে আসতে হয় কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে। জীবনের যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য খেতে হয় ওষুধ। বাড়ির আর্থিক অবস্থা এমন নয় যে এসব সামলে মেয়ের কলেজে পড়ার খচর সামলানো যাবে। তারই মধ্যে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখে প্রতিমা। আরও পড়তে চায় সে। ‘কন্যাশ্রী’র টাকায় স্কুল শেষ করে কলেজে পা রেখেছে প্রতিমা। স্কুলেও প্রতি বছর পেয়েছে কন্যাশ্রীর টাকা। কলেজে ভর্তি হতে পেয়েছে এককালীন ২৫ হাজার টাকা। এই টাকাতেই বাগনান কলেজে ভর্তি হয়েছে। প্রতিমা জানাল, কন্যাশ্রীর এই টাকা না পেলে কলেজে ভর্তি হওয়া হত না তার। এই টাকাতেই পড়তে হবে। বাড়তি খরচের সামর্থ্য নেই বাবা–মায়ের। তাই টিউশন নিতে পারেনি। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলে যে যে চাকরি পাওয়া যায় সেগুলোর চেষ্টা করছে। ‘একটা কাজ পেলে বড় ভাল হয়’ বলে জানাল প্রতিমা। ঘর জুড়ে অভাবের ছাপ স্পষ্ট। মা রাধারানী জানালেন, স্বামীর স্থায়ী কোনও কাজ নেই। তিনি নিজে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান। সব দিয়ে কুড়িয়ে–বাড়িয়ে দিন চলে যায়। মেয়ের চিকিৎসার পেছনেই সব খরচ হয়ে যায়। পড়াশোনার বড় ইচ্ছে মেয়ের। সরকারের থেকে কন্যাশ্রীর টাকা না পেলে প্রতিমার আর পড়া হত না। পড়ার পেছনে খরচ করার সামর্থ্য তাদের নেই।
শুধু একা প্রতিমা নয়, এমন হাজার হাজার প্রতিমার ভরসা ‘কন্যাশ্রী’। গ্রাম ঘুরে দেখা গেল, প্রতি ঘরেই রয়েছে বাংলার ‘কন্যাশ্রী’রা। কলেজে পড়ছে। দু’চোখ জুড়ে কিছু করার স্বপ্ন মাখা রয়েছে। সংসারে শত অভাব–টানাটানি থাকলেও, কন্যাশ্রীর দৌলতে যাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়নি। ভাই বা দাদার পড়ার জন্য যাদের নিজেদের কলেজে পড়তে যাওয়া আটকায়নি। যারা সরকারের থেকে দেওয়া নিজেদের টাকাতেই পড়াশোনা করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্বপ্নের প্রকল্প এই ‘কন্যাশ্রী’। ২০১৩ সালে চালু হয়। মূল উদ্দেশ্য হল, মেয়েদের পড়াশোনা চালাতে টাকা যেন কোনও বাধা না হয়। ২০১৭ সালে পায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই প্রকল্পে (কে ওয়ান) স্কুলস্তরে পড়াশোনার খচর বাবদ বছরে হাজার টাকা মেলে। ১৮ বছরের পর কন্যাশ্রী–২ প্রকল্পে অবিবাহিত মেয়েদের পড়াশোনার জন্য এককালীন দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে কে–৩ প্রকল্পেও ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা প্রতি মাসে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। হাওড়ার তাজপুর পঞ্চায়েতের উপ–প্রধান গোলাম খানের অফিসে বসেই হচ্ছিল কথা। গোলাম জানালেন, ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশেষ করে গ্রামের মেয়েদের জীবনকে দেখার দৃষ্টিটাই পাল্টে দিয়েছে। কলেজ পর্যন্ত সবাই পড়ছে। তার সঙ্গে নিজেরা টিউশনি করে নিজেদের খরচ নিজেরা চালাচ্ছে। বাড়ির লোকদের পড়ার খরচ দিতে হচ্ছে না। আগে স্কুল শেষ হলেই ছোট বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার যে প্রবণতা ছিল, সেটাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আটকানো গেছে।’
কন্যাশ্রীর টাকা না পেলে কলেজে ভর্তি হওয়া সম্ভব হত না রিয়া খাতুনের। পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না বিধানসভার রায়না ১–এ বাড়ি রিয়ার। ভর্তি হয়েছে গোতান কলেজে। জানালেন, কলেজে ভর্তি হতে সব মিলিয়ে হাজার ছয়েক টাকা লেগেছিল। বাড়ি থেকে এই টাকা দেওয়া সম্ভব হত না। কন্যাশ্রীর টাকাতেই ভর্তি হয়েছেন তিনি। বাংলা অনার্স নিয়ে শ্যামসুন্দর কলেজে পড়ছেন বীথি মুখার্জি। বীথির বোন স্নেহাও কলেজে পড়ছে। দু’জনেই পেয়েছেন কন্যাশ্রীর টাকা। বীথি জানালেন, কলেজে ভর্তি হতে লেগেছিল ৫ হাজার। এছাড়াও প্রতি সেমেস্টারে ভর্তি হতে খরচ ৩ হাজার টাকা করে। কন্যাশ্রীর টাকা পেয়ে খুবই সুবিধা হয়েছে। তাঁদের দুই বোনের পড়ার খরচ আর বাবাকে দিতে হয় না। কন্যাশ্রীর টাকা থেকেই হয়ে যায়। কলেজ শেষ করে আরও পড়ার ইচ্ছা রয়েছে বীথির।
পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ সহেলিদের। সহেলি পোড়েল। রায়না ১–এই বাড়ি। সদ্য শ্যামসুন্দর কলেজে ইতিহাস নিয়ে চার বছরের স্নাতক কোর্সে ভর্তি হয়েছে সহেলি। সহেলি জানাল, যদি কন্যাশ্রীর টাকা না পেত তাহলে কলেজে ভর্তি হতে পারত না। বাবা টুকটাক কাজ করেন। মা অসুস্থ, তাই বাড়িতেই। কলেজে এনসিসি করে সহেলি। শুধু পড়াশোনার কাজেই নয়, এনসিসির জুতো, পিটি ড্রেস কিনতেও কন্যাশ্রীর টাকা কাজে লেগেছে। সহেলি জানাল, আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। কলেজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই। শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও কন্যাশ্রীর টাকা পাওয়া যায়। ভবিষ্যতে পুলিশ হতে চায় সহেলি। কন্যাশ্রীর টাকা না পেলে কলেজে পড়া হত না মধুমিতা পোড়েলের। শ্যামসুন্দর কলেজে সংস্কৃত অনার্স পড়ছে মধুমিতা। কন্যাশ্রীর সব টাকা খরচ না করে ব্যাঙ্কে কিছু রাখা আছে। শুধু কলেজে ভর্তিই নয়, টিউশনি খরচও কন্যাশ্রীর টাকা থেকেই দেওয়া হয়। তবে শুধু কন্যাশ্রীর টাকা নয়, আরও কয়েকটি স্কলারশিপের টাকাও পায় মধুমিতা। হাওড়ার উলুবেড়িয়া লোকসভার অন্তর্গত ঘোষালচক গ্রামে বাড়ি তাঞ্জিলা খাতুনের। কন্যাশ্রীর টাকা না পেলে কলেজে পড়া হত না তাঞ্জিলার। বাবা লেদ কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। তাঞ্জিলার পরে আরও তিনটে ভাইবোন আছে। তাঞ্জিলা জানাল, আর্থিক কারণেই উচ্চ মাধ্যমিকের পর পড়াশোনায় ইতি পড়ে যেত যদি না কন্যাশ্রী থাকত। এই টাকা দিয়েই কলেজে ভর্তি হয়েছে সে, জানাল আরও পড়ার ইচ্ছা আছে। হাওড়ার তাজপুরের কাঁড়ার পাড়ায় বাড়ি সুদীপ্তা মণ্ডল কাঁড়ারের। আমতা কলেজে ভূগোল অনার্স নিয়ে পড়েছে সুদীপ্তা কন্যাশ্রীর টাকাতেই। সুদীপ্তার কথায়, মা বাড়িতে টিউশনি করতেন আর বাবা দিন মজুরের কাজ করতেন। কলেজে ভর্তি হতে সেই সময় যে টাকা লেগেছিল তা বাড়ি থেকে দেওয়া সম্ভব ছিল না। কন্যাশ্রীর টাকা না পেলে হয়ত আর পড়াই হত না। এতগুলো টাকা কোথা থেকে পেতাম। আমতা রামসদয় কলেজে স্নাতকে মাইনর–এ ভর্তি হয়েছে তিয়াসা পাল। কলেজে ভর্তি কন্যাশ্রীর টাকায়। বাকি টাকা ব্যাঙ্কে রাখা আছে।
দামোদরে ডুবে গেল একের পর এক লরি! ডিভিসি জল ছাড়ায় মহা-বিপত্তি
কড়া নজরদারিতে চলছে প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকিং, দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ বিতরণ ঘরে তোড়জোড় এই জেলায়
ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠান, মাইক হাতে রাস্তায় রাস্তায় স্কুলের শিক্ষকরা
গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল, তাতে কী! নতুন করে রাজ্যে এসেই বাসা বানাল তারা, এই বর্ষায় ভরা সংসার
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকায় সিসিটিভি, সঙ্গে কন্ট্রোল রুম, ঘরের লক্ষ্মীকে রক্ষা করতে মহিলাদের অভিনব উদ্যোগ
এখন গেলে কিন্তু ঢুকতে পারবেন না, পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে উত্তরবঙ্গে বনের দরজা
বিপুল ভিড়ের মোকাবিলা কীভাবে? মাহেশে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন পুলিশ কমিশনার, জেলাশাসক
সাংসদকে নোংরা ভাষায় আক্রমণ, দোষী সাব্যস্ত শিক্ষক দম্পতি
আমি বিয়ে না করলে বউ আত্মহত্যা করত, 'বালিকা বধূ'-কে বিয়ে করে সাফাই দিল বর
২ দিন আগেই মেরামত, ফের ব্যস্ত রাস্তায় ধস নেমে বিশাল গর্ত, ভোগান্তি শেষ হল না
কাকদ্বীপে উঠল ৫০ টন ইলিশ, বুধবার থেকেই বাজার গরম, দাম কত হবে
ঠিকমতো জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারেননি এই ব্যক্তি, এই 'অপরাধ'-এ দেশ থেকে বিতারিত করা হয়েছিল তাঁকে
ঘরেতে অভাব, তাই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা কেমন যেন কালো ধোঁয়া, মেডিক্যাল-এ সুযোগ পেয়েও চিন্তিত বহড়ুর এই মেধাবী ছাত্রী
সরকারি উদ্যোগে মোবাইল ফোন দিয়েই তথ্যচিত্র তৈরির অভিনব কর্মশালা, কোথায় হচ্ছে?
স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন, অন্য যুবকের সঙ্গে মেলামেশা, চুঁচুাড়ায় আত্মঘাতী অস্থায়ী মহিলা হোমগার্ড
'এমনি' নয়, এবার 'হুমম'! দেবের ক্যাপশনে আমূল পরিবর্তন, শুভশ্রীর সঙ্গে পুরনো সম্পর্কই কি এর কারণ?
ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে বিপদের মুখে রিয়াল, সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে এমবাপে, আদৌ খেলতে পারবেন টুর্নামেন্টে?
কলকাতায় ধরা পড়ল নীলবাতি লাগানো ভুয়ো আধিকারিকের গাড়ি
পুকুরে ভাসছে ওটা কী? দেখেই আঁতকে উঠলেন স্থানীয় বাসিন্দারা, পুলিশ আসতেই শোরগোল এলাকাজুড়ে
এই কাজটি করুন, না হলেই EPFO-তে জমা করা টাকা তুলতে নাভিশ্বাস উঠবে
জল খেতে যাওয়াই কাল! মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক পরিণতি চিকিৎসকের
ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের ছায়ায় বড় প্রস্তুতি! ফ্রান্সে ভারতীয় সেনার মহড়া শুরু
শিশুদের প্যান কার্ড, কীভাবে তৈরি করবেন? জেনে নিন সহজ পদ্ধতি
ব্যাঙ্ক লকার আছে? তাহলে অবিলম্বে এই কাজ করুন, না হলেই সিল করা হবে লকার! জানুন নয়া নিয়ম
ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে 'সামরিক হস্তক্ষেপ', আমেরিকাকে সতর্ক করল রাশিয়া!
ট্রফির দু’দিকে দুই দেশের কিংবদন্তি, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকার ট্রফির
ছেলের বাগদত্তাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করলেন ৫৫ বছরের ব্যক্তি! আলিগড়ে হুলস্থূল, তারপর কী হল?
বিপুল অঙ্কের জরিমানা এবং জেল, জনসমাগমে আইন অমান্য করলেই কড়া শাস্তি, কর্ণাটক বিধানসভায় নয়া বিলের প্রস্তাব
বিরল রোগের অন্যতম 'সিকেল সেল ডিজিজ' , সমাজ সচেতনতায় উদ্যোগী চিকিৎসকরা
জাতি-বৈষম্যে ইন্ধন! দলিত গ্রাম-প্রধানকে মঞ্চে উঠতে নিষেধ বিজেপি বিধায়কের, ভাইরাল ভিডিও-তে শোরগোল
অস্তাচলে ম্যাথিউজ, গার্ড অফ অনার দিয়ে শ্রীলঙ্কা তারকাকে সম্মান দিল বাংলাদেশ
কঠিন পরীক্ষার আগে কোহলি-রোহিতের বিরাট পরামর্শ গিলকে, প্রথম টেস্টের আগে ফাঁস গিলের, কী বললেন তাঁরা?
মাঝ আকাশে দেদার তাস পেটাচ্ছেন ওঁরা! নেটিজেনরা বলছেন, ‘ভাই, লোকাল ট্রেন নাকি?’
দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা সবচেয়ে আগে, ইজরায়েল থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে ‘অপারেশন সিন্ধু’ শুরু করল ভারত
ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে তেহরানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে চীন, কেন?
ভারতের বায়ু পরিবহণে ঘনীভূত সংকট, বেমালুম চেপে যাচ্ছে কেন্দ্র, মুড়িমুড়কির মতো ছাঁটা হয়েছে বরাদ্দ
পা ধরে বসে পড়েছেন অনুশীলনে, ক্লাব বিশ্বকাপে পোর্তোর বিরুদ্ধে কি নামবেন মেসি?
বাবা মৃত্যু পথযাত্রী, ঘরে আধাঁর, কিছুই দমাতে পারেনি একরত্তিকে, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য লড়ছে সে
EXCLUSIVE: ‘অপসংস্কৃতির মুখ হয়ে উঠেছেন অক্ষয়, ইতিহাস বিকৃতি নয়, এটা অপরাধ!’— ‘কেশরী ২’ নিয়ে ফুঁসে উঠলেন চৈতি, কিঞ্জল